বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, উদ্ধার এই চার মরদেরহের একটি মায়া গোরেন (৫৬) নামের এক কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষকের। তিনি ইসরায়েলের নির ওজ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি ৩ জন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সদস্য। এই সেনা সদস্যদের নাম প্রকাশ করেনি আইডিএফ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তাদের হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ১২০ এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়।
ভয়াবহ সেই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসলায়েলি সেনারা। তাদের সেই অভিযান এখনও চলছে এবং গত ৯ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। পুরো গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
যে চার জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা হামাসের কব্জায় থেকে রয়ে যাওয়া ১২০ জন জিম্মিদের মধ্যে অন্যতম।
আটকে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার এবং গাজায় অভিযান বন্ধের জন্য গত অক্টোবর থেকেই সেখানে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার— এই তিন দেশ এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সংলাপ বন্ধ ছিল। আগামী মাস থেকে কাতারে রাজধানী দোহায় তা ফের শুরু হতে যাচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স