আয়োজকরা বলেছেন, আমস্টারডামে গাজা যুদ্ধবিরোধী এই বিক্ষোভে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ লোকজনই ইসরায়েলের গাজা অবরোধবিরোধী প্রতীকী ‘রেড লাইন’ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে লাল রঙের পোশাক পরেছিলেন।
‘রেড লাইন মার্চ’ নামের এই বিক্ষোভ গত মে মাসে দ্য হেগে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশের ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ অবসানের পরিকল্পনা ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ আগেই এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন আয়োজকরা।
বিক্ষোভের আয়োজক সংস্থা প্যাক্স নেদারল্যান্ডস বলেছে, তারা গাজায় শান্তির প্রত্যাশা করছেন। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় তাদের অবস্থান বদলায়নি। প্রবল বৃষ্টির মাঝেই রোববার প্রায় সব বয়সী ডাচ নাগরিকরা রাজধানীর রাস্তায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিলে অংশ নেন। কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ‘‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’’ শ্লোগান দেন।
আবার অনেকের হাতে ‘‘ইসরায়েলের জন্য লজ্জা!’’ এবং ‘‘গাজা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরাও মুক্ত নই’’ লেখা প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৭ বছর বয়সী ডাচ নাগরিক এমিলিয়া রিভেরো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গাজায় ভয়াবহ নৃশংতায় যে দৃশ্য আমরা দেখছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়াটা আমাদের ন্যূনতম দায়িত্ব।
বিক্ষোভের আয়োজকরা অভিযোগ করে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস সরকার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আগামী তিন সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিকদের প্রতি ইসরায়েলের সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্যাক্স নেদারল্যান্ডসের পরিচালক রোলিয়েন সাসে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা করছি, খুব শিগগিরই গাজায় প্রকৃত যুদ্ধবিরতি হবে। সেখানকার মানুষ নিরাপদে থাকবেন এবং মানবিক সহায়তা পাবেন। তবে আমরা ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদে গণহত্যা বন্ধে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সূত্র: রয়টার্স।