সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ড্রাইকেক, বিস্কুট, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম, নারী ও শিশুদের জন্য স্যানিটারিসহ অন্যান্য শুকনো দ্রব্য। এগুলো ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের মাধ্যমে কায়রো পাঠানো হবে। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস তা গ্রহণ করে ফিলিস্তিনে হস্তান্তর করবে।
সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের হাতে প্রতীকী এ সহায়তা তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ফিলিস্তিনিরা একা নয়। আমরা ন্যায়বিচার ও মুক্তির জন্য লড়ছি। বাংলাদেশ আমাদের সাহস দিয়েছে। আমরা সংগ্রামের শক্তি ও সাহস পাচ্ছি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রায় চার হাজার মাইল দূরে ফিলিস্তিন। তবুও আপনারা আমাদের প্রতিবেশী। আপনারা যখন ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরে চিৎকার করেন। সেই আওয়াজ আমাদের কানে পৌঁছায়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমারা যখন ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যা চলছে তা কোনো যুদ্ধ নয়, তা গণহত্যা। সেখানে শিশু গণহত্যা হচ্ছে। এসব গণহত্যার খবর গণমাধ্যমে সঠিকভাবে আসতে হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে আরও দরকারি জিনিসসহ খাদ্যসামগ্রী ফিলিস্তিনে পাঠানো হবে।