এরপরই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।
আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছাড়ার খবরে দলটির মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীরাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে চলে যান।
যাদের একজন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার।
ঢাকাই সিনেমার এই নায়কের বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রায় অর্ধশত ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তারা। বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেই ফেরদৌসের বাড়িতে ঘুরতে যান ঋতুপর্ণা।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিগত একমাসেও ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। যে কারণে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, গত একমাস ধরে ফেরদৌসের খোঁজ পাইনি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও বন্ধ পাচ্ছি। অভিনেত্রীর কথায়, প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থন করতে পারেন। তবে মানুষ হিসেবে ফেরদৌস অসাধারণ।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘প্রত্যেকের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার অধিকার আছে। ফেরদৌসও সেভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে, সংসদ সদস্য হয়েছে। তবে ব্যক্তি ফেরদৌস খুব নরম মানুষ। অসাধারণ তার ব্যক্তিত্ব। যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন, এটা স্বীকার করবেন। আমি জানার বহু চেষ্টা করেছি সে এখন কেমন আছে, কোথায় আছে। কেউ যদি আমাকে জানাতে পারেন চিন্তামুক্ত হতাম। ওর জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি।’
নায়কের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনের সূত্রমতে, ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুইদিন আগেও বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে ৫ আগস্ট থেকে ফেরদৌসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নায়কের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ৪ আগস্টের পর কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার করতে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে ফেরদৌস দেশ ছেড়েছেন। যদিও নায়কের দেশ ছাড়ার খবরের এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পিএস-এর নাম্বারও বন্ধ রয়েছে।