এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক এবং নাম্বার টেন ক্লদিও এচেভেরি। ইউরোপের অনেক বড় ক্লাবের নজরে আছেন রিভারপ্লেটের এই ফুটবলার। আর তাকে ঠিক কেনো নতুন মেসি বলা হয় তারই নমুনা আজ দেখলো ব্রাজিল।
ক্লাদিও এচেভেরির দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিল আর্জেন্টিনা। সেইসঙ্গে নিশ্চিত হলো টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বাড়ি ফেরা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এক এচেভেরির কাছেই নাস্তানাবুদ হলো ব্রাজিলের তরুণরা। তিন দিনের ব্যবধানে আরও একবার ব্রাজিলকে হারতে হলো আর্জেন্টিনার কাছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভারী বর্ষণের কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট পরে শুরু হয় খেলা। শুরু থেকেই ম্যাচে দাপট ছিল আর্জেন্টিনার যুবাদের। প্রথমার্ধের শুরুর দশ মিনিট রীতিমত দাপটই দেখিয়েছিল তারা। এরপরেই খানিকটা লাগাম নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। পরের দশ মিনিট ব্যস্ত রাখে আর্জেন্টিনার রক্ষণকে।
তবে গোলটা আগে পেয়েছিল আর্জেন্টিনাই। ২৮ মিনিটে নিজেদের রক্ষণ থেকে একা ড্রিবল করে এগিয়ে গিয়েছিলেন এচেভেরি। বক্সের খানিক বাইরে থেকে নিয়েছিলেন শট। ব্রাজিল অধিনায়ক ভিটর রেয়েসের পায়ে বল গেলে দিক পরিবর্তন হয়। সেই বল ঠেকানোর সাধ্য ছিল না ব্রাজিল গোলরক্ষকের। ম্যাচের ৩০ মিনিট পেরুনোর আগেই লিড পায় আর্জেন্টিনা।
এচেভেরিকে কেন নতুন মেসি বলা হয়, তার প্রমাণ পাওয়া গেল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। ব্রাজিলকে বলতে গেলে পরের ৪৫ মিনিটে তেমন সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। আর তাতে মূল ভূমিকা ছিল অধিনায়ক এচেভেরির। ৫৭ মিনিটে বক্সের খানিক বাইরে থেকে বল পেয়ে যান তিনি। এরপর যেভাবে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বক্সে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন, তা অনেকটা দিন মনে রাখতে বাধ্য খেলার দর্শকরা।
আর নিজের তৃতীয় গোলে আরও একবার প্রবলভাবে মেসিকে স্মরণ করিয়েছেন এচেভেরি। লম্বা থ্রু পাসে একাই বল পেয়েছিলেন এই তরুণ। এরপর এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ফাঁকা পোস্টে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিং!
ম্যাচের শেষদিকে আর গোল হয়নি। ব্রাজিলের মাঝেও তেমন মরিয়া প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। জার্মানির সঙ্গে সেমিফাইনালের সঙ্গী হলো আর্জেন্টিনার তরুণরা। ২৮ তারিখ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে দুই দল।