এই বছর আইএলটি-২০ এর পাশাপাশি একই সময়ে চলছে বিপিএল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-টি২০। আইএলটি-২০ এর দলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে এসএটি-২০তে খেলায় নূরকে নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইএলটি-২০ এর প্রথম আসরে ওয়ারিয়র্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নূরকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এসএ টি-২০তে ডারবান সুপার জায়ান্টদের হয়ে খেলার কারণে ওয়ারিয়র্সের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেননি।
আইএলটি-২০ এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী নূরকে দ্বিতীয় মৌসুমের আগে "খেলোয়াড় চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে একই নিয়ম ও শর্তাবলীতে" একটি চুক্তির নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নূর স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করায় ওয়ারিয়র্স সরাসরি লিগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছিল।
![](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024February/noor-20240221115155.jpg)
আইএলটি-২০ এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট, নিরাপত্তা ও দুর্নীতিবিরোধী প্রধান কর্নেল আজম এবং এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য জায়েদ আব্বাসকে নিয়ে গঠিত লিগের শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে। রায় ঘোষণার আগে কমিটি নূর ও ওয়ারিয়র্স উভয়ের বক্তব্য শুনেছিল।
প্রাথমিকভাবে নূরের জন্য ২০ মাসের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছিল কমিটি। কিন্তু মূল চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় তার অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। নূরের ব্যাখ্যায় জানান তার এজেন্ট তাকে তার চুক্তির সম্পূর্ণ শর্তাবলী জানায়নি। সবকিছু বিবেচনায় নূরকে আট মাসের সাজা মাফ করে দেওয়া হয়।
প্রথম মৌসুমে ওয়ারিয়র্সের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে ৩৭ গড়, ৭.০৪ ইকোনমিতে চার উইকেট নিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ারিয়র্সের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন নূর। এর আগে তার স্বদেশি নাভিন-উল-হককেও রিটেনশন নোটিশে স্বাক্ষর না করার জন্য ২০ মাসের জন্য লিগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।