সংস্থাটি বলেছে, “গাজা উপত্যকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার ধাপ হয়ত ইতিমধ্যে পার হয়ে গেছে অথবা খুবই দ্রুত পার হবে।”
গত ১৭ অক্টোবর নিজেদের পর্যবেক্ষণে ‘ফেমিন রিভিউ কমিটি’ বলেছিল, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় খাদ্য ঝুঁকেতে থাকা মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৫ হাজারে পৌঁছাতে পারে। যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ।
ওই প্রতিবেদনের পর থেকে উত্তর গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সেখানকার খাদ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, খাদ্য সহায়তা এবং পানি সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অবস্থাও করুণ পরিস্থিতিতে পড়েছে।
দখলদার ইসরায়েল গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এছাড়া গাজায় বহির্বিশ্ব থেকে যে মানবিক সহায়তা আসত সেটি ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মানুষ এখন আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। গত এক বছরের তুলনায় গাজায় রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৬১২ শতাংশ। ডিজেলের দাম ১ হাজার ৩১৫ শতাংশ এবং কাঠের দাম ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।
সূত্র: এএফপি