বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এ নিয়ে বিএনপির মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেছিলেন দেখা সাক্ষাৎ করতে। তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে, তারা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, গভীর করতে চায়। আমরাও সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। জিয়াউর রহমান বারবার আওয়ামী লীগকে ভাঙার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন ফিরে এলেন এবং দলের দায়িত্ব নিলেন তখনই সকল নেতাকর্মী উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আগমন ঠেকানোর জন্য জিয়াউর রহমান সব প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। তারপর শেখ হাসিনার আগমনের দিন সমাবেশ না হওয়ার জন্য সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপরেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার আগমনে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ দুজনই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। একবার নয় বহুবার তারা হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তার লক্ষ্য ‘জনগণের অধিকার আদায়’ থেকে বিচ্যুত হননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে দেখতাম গয়েশ্বর রায় খেই হারান, রহুল কবির রিজভী আবোলতাবোল বলেন। এখন দেখি সিনিয়ররাও খেই হারিয়ে ফেলেছেন, আবোলতাবোল বলছেন। যখন কেউ আশার আলো দেখে না, তখন খেই হারিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি। আমি বিএনপিকে অনুরোধ করব তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজের দলকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে এবং সব নির্বাচনে অংশ নেবে।