• 04 May, 2024

দণ্ড স্থগিতেও অস্বস্তিতে ইমরান, আরেক মামলায় হতে পারে ১৪ বছরের জেল

দণ্ড স্থগিতেও অস্বস্তিতে ইমরান, আরেক মামলায় হতে পারে ১৪ বছরের জেল

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তোশাখানা দুর্নীতি মামলার কারাদণ্ড গতকাল মঙ্গলবার স্থগিত করা হয়। এ রায় ইমরানের জন্য বড় একটি রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে দুর্নীতি মামলার দণ্ড স্থগিত হলেও স্বস্তিতে নেই ইমরান খান। কারণ গোপন তারবার্তা ফাঁসের গুরুতর অপরাধে এখন তাকে অ্যাটোক কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আর এ মামলায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

গতকাল ইমরানের দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করে তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই সরকারি গোপন নথি বিশেষ আদালত অ্যাটোক কারাগারকে নির্দেশ দেয়—  ইমরানকে যেন আটকে রাখা হয়। ওই নির্দেশনায় কারাগার কর্তৃপক্ষকে বিশেষ এ আদালত বলেন, ইমরানের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মামলা চলমান। সেজন্য তাকে আটকে রাখতে হবে। এছাড়া আজ বুধবার তাকে আদালতে উপস্থানের নির্দেশও দেওয়া হয়।

ইমরানকে এখন যে গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় আটক আছেন সেটির সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। সে মাসে তিনি অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। ইমরানের অভিযোগ ছিল— তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন দুই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা পাক দূতকে হুমকি দিয়েছিলেন, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে না সরালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

আর সেই গোপন বৈঠকের বিষয়টিরই একটি নথি ইমরান খান একটি জনসভায় প্রকাশ্যে দেখিয়েছিলেন। এরমাধ্যমে তিনি সরকারি গোপন নথি ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে বিচার করতে মাত্র কয়েকদিন আগে বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আইনজীবী তানিয়া বাজাই কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যদি গোপন তারবার্তা ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ইমরান খানের ১৪ বছর বা তারও বেশি সময়ের জেল হতে পারে। এই মামলাটি তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ইমরান খান সরকারি গোপন নথি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং তারবার্তাটি জনসমাবেশে প্রকাশ্যে দেখিয়েছেন এবং জোরে জোরে পড়ে শুনিয়েছেন। যেটি কূটনৈতিক ও সরকার প্রধানের বিশেষ আলোচনা ছিল।’