গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের কী অবস্থা
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ২০২৩ সালকে উষ্ণতম বছর বলছিল। তবে চলতি বছর যেভাবে গরম পড়ছে তাতে ২০২৩ সাল এ বছরই তার উষ্ণতম বছরের তকমা হারাতে পারে।
জাহাজের ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে ভেঙে পড়েছে সুদীর্ঘ এক সেতু। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে দেশটির মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর শহরের ফ্রান্সিস স্কট নামক সেতুতে সজোরে ধাক্কা লাগে কন্টেইনার বোঝাই একটি জাহাজের।
ধাক্কায় দুই টুকরো হয়ে ধসে পড়ে বিশাল এই সেতুটি। আর ধাক্কা দিয়ে বাল্টিমোর সেতুকে ধসিয়ে দেওয়া ওই জাহাজটির সকল ক্রু সদস্যই ভারতীয়। অবশ্য দুর্ঘটনায় তারা কেউই আহত হননি।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে সেতু ধসে পড়ার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার বাল্টিমোর ব্রিজের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়া ওই জাহাজটিতে মোট ২২ জন ক্রু ছিলেন, তারা সকলেই ভারতীয়। ভেসেল কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সকলেই নিরাপদ রয়েছেন।
মেরিল্যান্ডের গভর্নর বলেছেন, ব্রিজে সংঘর্ষের আগেই বিপদ বুঝে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল জাহাজের পক্ষ থেকে। আর সেই অনুযায়ী, ব্রিজে নতুন করে আর গাড়ি উঠতে দেওয়া হয়নি, যে কারণে ক্ষয়ক্ষতি সামান্য হয়েছে। যদি জাহাজটি আগে না জানাত, তবে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।
গভর্নর ওয়েস মুর বলেছেন, ধাক্কা দেওয়ার আগে ৩০০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি ‘দ্রুত’ (ঘণ্টায় নয় মাইল) গতিতে চলছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ যে, ধাক্কা দেওয়ার আগে সংকেত পাঠানো এবং সেতু ধসে পড়ার সময়ের মধ্যে আমাদের কর্মকর্তারা যান চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই লোকেরা বীর। তারা গত রাতে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।’
এর আগে ডালি নামক ওই কন্টেইনার জাহাজটি মঙ্গলবার ভোরে বাল্টিমোরের ব্রিজে ধাক্কা দেয়। এতে প্যাটাপসকো নদীতে থাকা ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় বেশ কিছু গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। এছাড়া ২০ জনের বেশি মানুষ নদীতে পড়েন।
তাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নৌকা এবং হেলিকপ্টার নিয়ে নিখোঁজ ছয়জনের খোঁজে বিস্তৃত পরিসরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া আরও দুজনকে পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ২০২৩ সালকে উষ্ণতম বছর বলছিল। তবে চলতি বছর যেভাবে গরম পড়ছে তাতে ২০২৩ সাল এ বছরই তার উষ্ণতম বছরের তকমা হারাতে পারে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাত মাস ধরে চলা নির্বিচার এই হামলার জেরে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। লাগাতার হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।