শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, হাসপাতালের বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরকারি ব্যবস্থাপনায় জন্ম নিয়েছে টেস্টটিউব শিশু। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জন্ম নেয় শিশুটি। বর্তমানে শিশুটি অধ্যাপক ফাতেমা রহমানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কোনো হাসপাতালে এই প্রথম কোনো টেস্টটিউব বেবির জন্ম হলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক এ বিষয়ে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, বন্ধ্যা নারীর মা হওয়ার আধুনিক পদ্ধতি হলো ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে অনেকভাবে সন্তান জন্মদানের চেষ্টা করেন। বহু দম্পতি প্রতিবেশী দেশ ভারতে যান বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য। দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বা ভারতে টেস্টটিউব শিশুর জন্য ব্যয় অনেক বেশি। কোনো নিম্নবিত্তের পক্ষে সেই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। ঢাকা মেডিকেলের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক নিম্নবিত্ত দম্পতিও নতুন করে সন্তান জন্ম দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়। এরপর ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়। এরপর বেসরকারিভাবে কিছু হাসপাতালে ধারাবাহিকভাবে এটি হলেও সরকারিভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এটি প্রথম শিশু।