ইতোমধ্যে জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভাঙা হয়েছে। গতকাল ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন ফেডারেশন/এসোসিয়েশনে তাদের ১৬ জন কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বিভিন্ন ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের নানা পদে ছিলেন। কেউ এনএসসি মনোনীত হয়ে ছিলেন আবার কেউ বিভিন্ন সংস্থায় কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচিত ছিলেন৷ মনোনীত, নির্বাচিত সকলকেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অপসারণ করেছে।
শরীর গঠন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক পরিচালক প্রশাসন শেখ হামিম হাসান। সেই অ্যাডহক কমিটির সম্পাদককে অপসারণ করেছে এনএসসি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম কিরণ আরচ্যারি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের সাবেক পিএস রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাতও আরচ্যারি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ ছিলেন। আরচ্যারি ফেডারেশনের দুই সহকারী সম্পাদক অপসারিত হয়েছেন।বক্সিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দা তাসলিমা আক্তারকে, সদস্য থেকে মাঠ কর্মচারী মোঃ সেলিমকে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাইক্লিং কোচ শহিদুর রহমানকে সাইক্লিং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে, ভারোত্তোলন কোচ ফারুক আহমেদ সরকারকে ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন, উশু সহ আরো কয়েকটি সংস্থা থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্টাফদের বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তা হওয়া নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনা ছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অবশেষে নিজেদের কর্মকর্তাদের ফেডারেশন থেকে অপসারণ করল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের ফেডারেশনে নির্বাচন না করা সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।