বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জয়পুরে ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান। কিছুটা জটিল উইকেটে নির্ধারিত ওভার শেষে তারা ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে। রানতাড়ায় জিততে হলে শেষ দুই ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩২ রান। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই রান কঠিন কিছু নয়। ১৯তম ওভারে সন্দীপ শর্মাকে পিটিয়ে ১৫ রান নেন ত্রিস্তান স্টাবস। ফলে শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভার করা আবেশ খান দেন মাত্র ৪ রান, যা ১২ রানের জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের।
দিল্লির প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এদিন শততম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ঋষভ পান্ত। তবে নিজের মাইলফলক ম্যাচে সুখকর অভিজ্ঞতা হয়নি। যদিও প্রায় প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা থেকে ফেরার পর এ নিয়ে তিনি প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন। গতকাল অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল দিল্লির। কারণ দলীয় ৩০ রানেই দুই তারকা ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক স্যামসনকে হারায় রাজস্থান। খানিক বাদেই ফেরেন জস বাটলারও। এরপর বিপর্যয় সামলে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে গেছেন পরাগ।
৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই তরুণ ব্যাটার। বাকি ১১ বলে ঝোড়ো গতিতে তুলেছেন ৩৪ রান। তার মধ্যে শেষ ওভারেই নেন ২৫, তাও সেটি করেছিলেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা পেসার এনরিখ নরকিয়া। তিনটি চার ও দুই ছক্কায় পরাগ দক্ষিণ আফ্রিকান তারকাকে পুরো এলোমেলো করে দেন। রাজস্থানও পেয়ে যায় ১৮৫ রানের দারুণ স্কোর। এছাড়া স্বাগতিকদের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২৯ (১৯ বল), ধ্রুব জুরেল ২০ (১২ বল) ও অপরাজিত শিমরন হেটামায়ার ১৪ রান (৭ বল) করেন।
রান তাড়া করতে নেমে দিল্লিরও শুরুটা ভালো হয়নি। দলের ৩০ রানের মধ্যে পরপর দুই উইকেট হারায় ক্যাপিটালস। মিচেল মার্শ (১২ বলে ২৩ রান) এবং রিকি ভুই (২ বলে শূন্য রান) দ্রুত ফিরলে হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাকে কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেন পান্ত। কিন্তু ৩৪ বলে ৪৯ করে আউট হয়ে যান ওয়ার্নার। পান্তও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফেরেন ২৬ বলে ২৮ করে।
এই পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন ত্রিস্তান স্টাবস। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। এই দুই প্লেয়ারের হাত ধরে লড়াইয়ে ফেরে দিল্লি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ৩টি ছক্কা এবং ২টি চারের হাত ধরে ২৩ বলে ৪৪ করে অপরাজিত থাকেন স্টাবস। ১৩ বলে অপরাজিত ১৫ রান অক্ষরের। তবে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে দিল্লি। রাজস্থানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন নান্দ্রে বার্গার এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।
এ নিয়ে আইপিএলের প্রথম নয়টি ম্যাচেই জয় পেল স্বাগতিক দল। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে এবার এখনও পর্যন্ত কোনো দলই জয় পায়নি।