এক ভিডিয়ো বার্তায় সায়ন্তিকা বলেন, আমি কৃতজ্ঞ আমার দলের কাছে। আমার নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং আমার নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বরাহনগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে তাঁরা যে আমার উপর বিশ্বাস এবং ভরসা করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত যে আমি জয়ী হয়ে এই আসনটি আমার দলের হাতে তুলে দিতে পারব।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতে সাত ধাপে জাতীয় নির্বাচন (লোকসভা ভোট) শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। শেষ ভোট হবে ১ জুন। সেই সঙ্গে দেশটির ২৬ রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বরানগরে প্রার্থী করা হয়েছে দলের রাজ্য সম্পাদক অভিনেত্রী সায়ন্তিকাকে। আর ভগবানগোলা বিধানসভার উপ নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে রেয়াত হোসেন সরকারকে। ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি সম্প্রতি মারা গেছেন। সেই কারণে সেখানে উপ-নির্বাচন হবে।
আর বরাগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে, উত্তর কলকাতা আসন থেকে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। সেই কারণে উপ-নির্বাচন হচ্ছে বরানগরে। ইতোমধ্যে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপি নেতা, কাউন্সিলর সজল ঘোষের। আগামী ১ জুন দুই আসনে ভোটগ্রহণ। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, উপনির্বাচন আসনের ফল ঘোষণা হবে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, বিজেপির কাছে পরাস্ত হতে হয়। এরপর দল তাকে জানায়, বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে ২৪ সালে তাকে সংসদ নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে বিনোদন জগতকে একপ্রকার বিদায় দিয়ে দলের অনুগামী সৈনিক হয়ে কলকাতা ছেড়ে বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা যায় তালিকায় নাম নেই অভিনেত্রীর। এরপরই দলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়ন্তিকা। প্রার্থী হতে না পেরে অভিমানের কথা প্রকাশ্যে বলেও ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। তবে তার অভিমানের দাম, কিছুটা পেলেন। বাঁকুড়া লোকসভার বদলে তাকে বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করল শাসক তৃণমূল।