এছাড়া পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভিসা না পাওয়ায় গত ২৬ অগাস্ট রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন অনেকে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। রোববার রাতে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।”
গত অগাস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বন্ধ রযেছে ভারতীয় ভিসা পরিষেবা।
পরে ভারতীয় দূতাবাসের বহু কর্মীকে ভারতে ফিরিয়ে নেয় দেশটি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় কাজ শুরু হলে মিলছে না ভিসা পরিষেবা।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভিসা সেন্টার খুলছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায়। তবে এখনই সকলে ভিসা পাবেন না। কেবলমাত্র যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চান, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে অগ্রাধিকার।
আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।