ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরও বেশি মনোযোগের দাবি রাখে। বস্নুমবার্গ। এইচএসবিসি হোল্ডিং পিএলসির লেখক হেরাল্ড ভ্যান ডার লিন্ডে ও গর্গ-এর একটি নিবন্ধের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা বস্নুমবার্গ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে প্রধান ভোক্তা বাজারে পরিণত হওয়ার পথে আছে। সেখানে মানুষের দৈনিক আয় ভিয়েতনামের তুলনায় অন্তত ২০ ডলার বেশি হবে। এছাড়া বাংলাদেশে আকর্ষণীয় মূলধনী মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে; যা আগামী ৩ বছরে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আভাস অনুসারে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭% হতে পারে; যা এশিয়ার দ্রম্নততম প্রসারিত দেশগুলোর মধ্যে একটি। গত এক দশকে মোট দেশীয় পণ্য বৃদ্ধির গড়
৬% এর বেশি এবং মাথাপিছু জিডিপি সম্প্রতি ভারতের ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সম্প্রতি মুদ্রার অবাধ বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে উলেস্নখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করে। এতে ব্যবসায়ীদের উপকার হবে। এছাড়া দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আইএমএফ-এর কাছ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণও নিয়েছে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সীমাবদ্ধতা, অস্থির মুদ্রা ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ একাধিক ঝুঁকির সম্মুখীন। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছোট। ৪৫০টিরও কম কোম্পানি বহন করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স ২০২২ সালে ৮% পতনের পর এ বছর ১%-এর কম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশের ব্যাংকগুলোকে অবকাঠামো ও কারখানাগুলোতে উচ্চ ব্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান ঋণ বৃদ্ধি থেকে লাভবান হওয়া উচিত বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।