আমাদের দেশ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা হবে কেন? আমরা কি স্বাধীন দেশের নাগরিক নয়? হিন্দুরা এ দেশের নাগরিক। তাদের ভালো-মন্দ আমরা দেখব। এটা নিয়ে অন্য দেশে আলোচনা হবে কেন?
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চরমোনাই মাহফিল ময়দানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে সকল দল জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। খুনি ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার পক্ষে আওয়াজ তুললে বাতিল পালাতে বাধ্য হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে গণজমায়েতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নেছার উদ্দীন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’র সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, অ্যাডভোকেট হাছিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, শরিফুল ইসলাম রিয়াদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া আজ চরমোনাই ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মুসল্লির এই জামায়াতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিল শেষ হবে।
চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য কে এম শরীয়াতুল্লাহ জানিয়েছেন, মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুইজন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের জানাজা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।