গতকাল চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সিলভারউড বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ আজ ভালো খেলেছে। তারা আমাদের বোলারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে। আমাদের কাজ কঠিন করে দিয়েছে। আমরাও ভালো বোলিং করেছি। এমন সময় গিয়েছে যেখানে আমরা আরও ভালো বোলিং করতে পারতাম। আমার মনে হয় এই ইনিংসে বল হাতে আমরা ধারাবাহিক হতে পারিনি যেটা প্রথম ইনিংসে পেরেছিলাম। তবে ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি।’
প্রথম টেস্টের ২০ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছিলেন লঙ্কান পেসাররা। দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এই সিরিজে দারুণ করেছি। দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে ছেলেরা। তারা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। আমি মনে করি তারা বিভিন্ন কন্ডিশনে কীভাবে বোলিং করতে হবে তা শিখতে পারছে। আগের টেস্টে একদম ভিন্ন ধরনের পিচ ছিল। ফলে আমাদের কাজের ধরণে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তারা ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। তারা দিনদিন বড় হচ্ছে। শেখার আরও অনেক কিছু আছে। তারা প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে।’
‘আমরা তাদের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করছি। এই দক্ষতা আপনার মাঝে থাকলে আপনি দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে সফল হতে পারবেন। এর ফলে সবুজ উইকেটে সবুজ উইকেটে আপনি আরও ভয়ংকর হতে পারবেন।’ যোগ করেন লঙ্কান এই কোচ।
চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘এমন উইকেটে আপনাকে লাইন এবং লেংথ বজায় রাখতে হবে। লম্বা সময় ধরে চাপ ধরে রাখতে হবে। আমরা দেখেছি রান রেট তিনের নিচে নামায় অনেক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, কাজ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ব্যাটারদের ওপর চাপ ছিল। ফলে আমরা ভুল করাতে পেরেছিলাম। বাংলাদেশ আমাদের আজ সেটি করতে দেয়নি। রানরেট ৩.৯ এর আশেপাশে ছিল। যার মানে হচ্ছে তারাও আমাদের চাপ দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো একটি শিক্ষা।’