রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এত আহাম্মক না এরকম লোককে এখানে পাঠাবে। সে যদি সংঘর্ষের কথা বলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা উচিত। বিদেশি নাগরিক এসে আপনার দেশে সহিংসতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। সে যেই হোক, কোনো বিষয় নয়। এটা একটা ভুয়া লোক, একে গ্রেপ্তার করা উচিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় সরকার জানতে পেরেছে কি না– জানতে চাইলে মোমেন বলেন, না, আমি জানি না। আমেরিকান মিশন বলেছে, তারা ওকে চিনে না। তার নামটা দেখে সন্দেহ হয়। সুতরাং এটা চেক করতে হবে, সন্দেহ আছে। নিরাপত্তার লোকেরা চেক করলে ভালো। অন্য দেশে এসে সহিংসতার আহ্বান দেবে এরকম লোককে গ্রেপ্তার করা উচিত।
তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আলাপ করি। দেখি, সরকারের যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সঙ্গে আলাপ করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, অন্য দেশের লোক আরেক দেশে এসে সহিংসতার কথা বললে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত।
পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে যারা অত্যাচার করেছে বা হাত তুলেছে বা মেরেছে তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তাদের অনুশোচনা করা উচিত, কারণ একটা ফোর্স মানুষের সেবার জন্য আছে, তার ওপর অত্যাচার করেছে। যে দল এটা করেছে তাদের প্রত্যেকের এটা নিয়ে লজ্জা পাওয়া উচিত। পাবলিকলি পুলিশ বাহিনীর কাছে তাদের অনুশোচনা করা, অনুতপ্ত হওয়া উচিত।
মোমেন বলেন, যারা এসব করেছে তারা অমানুষ, তারা তো মানবতার ধারে কাছে নেই। একজন পুলিশ মারা গেছে, অস্বাভাবিক মৃত্যু। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এটা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, ভালো শাস্তি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যেন ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কেউ আর হাত না তোলে।
পুলিশ বাহিনীর ওপর এ ধরনের হামলা সামনে হবে না বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।