এলিমিনেটর ম্যাচে তারা বাবর আজমের পেশোয়ার জালমিকে হারিয়েছে। ম্যাচ জয়ের পথে সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড (৯৮ রান) গড়েন ইমাদ ওয়াসিম ও হায়দার আলি। বাবরদের দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্য তারা ৫ উইকেটে পেরিয়েছে।
করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচটি ছিল ফাইনালে ওঠার লড়াই। যেখানে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে বাবরের দল ৫ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে। চলতি আসরের সেরা রানসংগ্রাহক হলেও, এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি বাবর। জালমির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। মাত্র ৪৪ বলের এই ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান।
এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিস ২৫ বলে করেন ৪০ রান। সমান ৯ বল করে খেলে টম কোহলার-ক্যাডমোর ১৮ ও আমের জামাল ১৭ রান করেন। এর আগে বাবর করেন ২৫ রান। ইসলামাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার নাসিম শাহ।
জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পায়নি ইসলামাবাদ। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেটের পর এবং ২১ রানে পরপর তারা দুই ব্যাটারকে হারায়। ৩৪ রান করা মার্টিন গাপটিলের বিদায়ে আরও বিপদে পড়ে যায় ইসলামাবাদ। আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করলেও আজম খান ফেরেন ২২ রানে। এরপর আর ভাবতে হয়নি শাদাবের দলটিকে। কারণ ইমাদ ওয়াসিম ও হায়দার মিলে বাকি পথ দারুণভাবে সামলেছেন। ইমাদ শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৯টি চারের বাউন্ডারিতে অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। এছাড়া হায়দার ২৯ বলে ২টি চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ রান করতেই ছয় বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ।
এ নিয়ে ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো পিএসএল ফাইনালে উঠল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এর আগে তারা ২০১৮ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ১৮ মার্চ মুলতানের মুখোমুখি হবে ইসলামাবাদ। এমন ম্যাচে হারের পর হতাশা লুকাতে পারেননি পেশোয়ার অধিনায়ক বাবর। শেষ ওভারগুলোতে বোলারদের পারফরম্যান্সে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বাবর বলেন, ‘প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু এরপর আমাদের বোলিং ছিল খুবই বাজে। আমরা আমাদের সঠিক পথে থাকতে পারিনি, অথচ ভেবেছি ম্যাচটি আমরাই জিতব। আমরা ম্যাচে এগিয়ে থাকার পরও খুবই সাধারণ বোলিং করেছি আমরা। তবে এজন্য ইমাদ ও হায়দারকে ক্রেডিট দিতেই হবে। তারা যেভাবে খেলেছে তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য।’