যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে
কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা করতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি
নড়াইলকণ্ঠ ডেস্ক : সৃজনশীল কর্ম হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মেধাস্বত্বের স্বত্বাধিকারীর স্বীকৃতি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘আশ্রয়ণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’কে সৃজনশীল মেধা কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সনদে সৃজনশীল কর্মের প্রণেতা (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ এবং সৃজনশীল কর্মের স্বত্বাধিকারী (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’র নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আশ্রয়ণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে ধারণা, এ ধারণা কিন্তু টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আটটি ধাপ অতিক্রম করেছে। একটি ঘর দেওয়ার ফলে যাদের বসতি আছে তাদের জীবিকা হচ্ছে, নারীর জন্য জমির মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে, ঘরের মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে। তাঁর (শেখ হাসিনা) এই ধারণাটি আমাদের একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন বলে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, এ আশ্রয়ণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবনমানের উন্নয়ন। আশ্রয়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তিনি ২৮ লাখ মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী নানাবিধ উদ্যোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয় পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের যারা দরিদ্র অথবা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন, তাদের জীবনমানের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণের কারণে আমরা মনে করি সর্বশেষ যে রাষ্ট্রীয় সমীক্ষা, যেখানে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ থেকে পাঁচ দশমিক আটে নেমে এসেছে, এটি মূলত আশ্রয়ণের নানামুখী উদ্যোগের কারণে। তিনি বলেন, আশ্রয়ণ শুধু একটি ঘর নয়, মানুষ যেমনি নিজের ঠাঁই পেয়েছে, একই সঙ্গে দুই রুমের পাশাপাশি তিনি কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে, স্যানিটেশন পাচ্ছে, তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, তাকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা করতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।
উপজেলা নির্বাচন : এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রবাসীদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা আছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। সেই প্রবাসীদের জন্য এবং তাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন।