মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই জনদুর্ভোগ দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। ছাত্র ও ছাত্রীদের কাঁধে ভর দিয়ে একটি গোষ্ঠী জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে এটি আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা মনে করি আদালতে যে বিষয়ে বিচারাধীন আছে সেটি আদালতে ফয়সালা হবে। আদালতের ফয়সালার পর যদি সরকারের কাছে কোন সুযোগ আসে তাহলে অবশ্যই সরকার এর সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন ও আদালতকে আমাদের সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। সব সময় সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আদালতের বাইরে গিয়ে সরকারের কোন কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়টি না বুঝার কোনো কারণ নেই। একটি গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ভুল পথে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে।
নাছিম বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি, আত্মপরিচয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনির্মাণে, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে যার অবদান সব থেকে বেশি সেটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী যখন নিজেদের রাজাকারের সন্তান বলে গর্বিত ভাব প্রকাশ করে, নিকৃষ্ট ভাষায় স্লোগান দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না বলে দাম্ভিকতা দেখায়, সেই দাম্ভিকতাকে বাংলাদেশের ছাত্র, যুব সমাজ সহ সকল পেশাজীবী মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এটি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, এ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য আমরা আহ্বান জানাব। যারা নিজেদের রাজাকারের উত্তরাধিকার মনে করে তাদের পরিচয়ও আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। এখন আমাদের এই ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে ধৈর্য, সাহসিকতা, সহনশীলতার মধ্য দিয়ে এদের প্রতিহত করব। যারা দেশের মানুষের স্বার্থের বাইরে যাবে তাদের আমরা ছাড় দেব না।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।