প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বর্তমান স্কোয়াড থেকে ৬ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারবে। সেটি রিটেনশনের মাধ্যমেও হতে পারে কিংবা রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্যবহার করেও করতে পারে।
কম্বিনেশন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য নানা ভাবনা চিন্তার জায়গা থাকছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। রিটেনশন ও আরটিএম ব্যবহারে ৬জন ক্রিকেটার ধরে রাখা যাবে, তার মধ্যে সর্বাধিক ৫ জন ক্যাপড প্লেয়ার (ভারতীয় এবং বিদেশি মিলিয়ে) এবং সর্বাধিক ২ জন আনক্যাপড প্লেয়ার রাখা বা নেওয়া যাবে।
আগামী আইপিএলের নিলামে ১২০ কোটি টাকা ব্যবহার করতে পারবে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি। পাশাপাশি বেতন বাড়ানোর ব্যবস্থাও থাকছে। অকশন পার্স এবং স্যালারি বাড়ানো মিলিয়ে ২০২৫ আইপিএলে মোট ১৪৬ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে। যেটা বাড়তে থাকবে। ২০২৬ আইপিএলে ১৫১ কোটি এবং ২০২৭ আইপিএলে ১৫৭ কোটি টাকা হবে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে ভিন্নমত ছিল। এই নিয়ম রাখা নিয়ে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত থাকছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম। তার সঙ্গে চালু হল ম্যাচ ফিও। চুক্তির অর্থের পাশাপাশি খেলার সুযোগ পেলে প্রতি ম্যাচে ৭.৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে প্লেয়ারদের। প্রথম একাদশে থাকা প্লেয়ারদের পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেও ম্যাচ ফির নিয়ম থাকছে।
রিটেনশন ছাড়া বাকি সব বিদেশি প্লেয়ারদেরই নিলামের জন্য নাম লেখাতে হবে। মেগা নিলামে যদি কোনো প্লেয়ার নাম না দেন তাহলে ২০২৫-এর পরের নিলামে আর নাম দিতে পারবনে না।
কোনো প্লেয়ার যদি নিলামের জন্য নাম দেন এবং নিলামে তাকে নেওয়া হয়, তারপর যদি শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে সেই প্লেয়ারকে আইপিএল খেলা এবং নিলামে অংশ গ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
কোনো ভারতীয় প্লেয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাঁচ বছর কিংবা তার আগে বিদায় জানিয়ে থাকলে কিংবা কোনো প্লেয়ার যদি স্কোয়াডে থেকেও পাঁচ বছর (যে কোনো ফরম্যাটেই) একাদশে সুযোগ না পেয়ে থাকেন অথবা সেই প্লেয়ার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলে, আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে গণ্য হবেন। এটি শুধুমাত্র ভারতীয় প্লেয়ারদের জন্যই প্রযোজ্য।
কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঁচজন প্লেয়ার ধরে রাখলে প্রথম তিন জনের জন্য যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি এবং ১১ কোটি পার্স থেকে কাটা যাবে। বাকি দু-জনের জন্য ১৮ এবং ১৪ কোটি। অর্থাৎ কোনো দল যদি পাঁচ জন প্লেয়ারকে ্ধরে রাখে তাহলে ১২০ কোটির পার্স থেকে ৭৫ কোটি এখানেই চলে যাবে!