তারা হল, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পঞ্জাব কিংস। ফলে আগামী আসরে এই পাঁচটি দল নতুন অধিনায়ক পাচ্ছে।
এবারের নিলামের আগে শ্রেয়াস আইয়ারকে ছেড়ে দিয়েছিল কেকেআর। গতবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ককে ছেড়ে কলকাতা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, এবার নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে চায় তারা। নিলামে ভেঙ্কেটেশ আইয়ারকে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় কিনেছে কেকেআর। তার থেকে কম টাকায় লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটার তারা কিনতে পারত। কিন্তু সেটা তারা করেনি। এর একটা কারণ হতে পারে, প্রথম থেকেই যেহেতু এই দলে খেলছেন ভেঙ্কেটেশ তাই তাকেই অধিনায়কত্ব দিতে চায় দলটি।
দিল্লিও এবার তাদের সাবেক অধিনায়ক ঋষভ পান্তকে ছেড়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছর পান্তই দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন। পান্তের আগে দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়াস। তাকেও নিলামে কিনতে পারেনি দিল্লি। তবে রাহুলকে ১৪ কোটি টাকায় কিনেছে তারা। রাহুল এর আগে আইপিএলে বেশ কয়েকটি দলে অধিনায়কত্ব করেছেন। এবার দিল্লিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন তিনি।
রাহুলের সাবেক দল লক্ষ্ণৌ এবার নতুন অধিনায়ক পাবে। গতবার আইপিএল চলাকালীনই রাহুলকে মাঠেই ধমক দিয়েছিলেন দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা। ফলে এবার যে রাহুল থাকবেন না তা নিশ্চিত ছিল। রাহুলকে ছেড়ে দিলেও নিকোলাস পুরানকে ধরে রেখেছিল লক্ষ্ণৌ। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দল ও অন্য লিগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সম্ভাবনা আছে এখানেও অধিনায়কত্ব পাওয়ার। তবে পান্তকেও নেতৃত্ব ভার দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিরাট কোহলি নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। তাকে এবার ধরে রাখেনি দলটি। নিলামে তারা যাদের কিনেছে তাদের মধ্যে অধিনাকত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম। ফলে আবার কোহলিকেই নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতে পারে।
পাঞ্জাব এবারও পুরো দল বদলে ফেলেছে। গতবার শিখর ধাওয়ান তাদের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু প্রথম কয়েকটি ম্যাচের পর চোট পাওয়ায় বাকি ম্যাচগুলোতে স্যাম কারান অধিনায়কত্ব করেছিলেন। এবার তারা কেউ নেই। এবারের নিলামে ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় শ্রেয়াসকে কিনেছে পাঞ্জাব। গতবার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। ফলে তাকেই অধিনায়কত্ব দিতে পারে পাঞ্জাব।