প্রথমে ছিল স্কোয়াশ। এশিয়ান গেমসে পুরুষদের দলগত বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হয় সেই খেলা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা ছিল পাকিস্তানের। তাই টানটান খেলার আশা করা হয়েছিল।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ইকবাল নাসিরের কাছে ০-৩ গেমে হেরে যান ভারতের মহেশ মানগাঁওকর। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ভারতকে সমতায় ফেরান সৌরভ। তিনি ৩-০ গেমে হারান পাকিস্তানের আসিম মোহাম্মদ খানকে। ১-১ অবস্থায় তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হন ভারতের অভয় সিংহ এবং পাকিস্তানের নুর জামান। টানটান ম্যাচে অভয় জেতেন ২-১ ব্যবধানে। সোনা জেতার পাশাপাশি গ্রুপ পর্বে হারের বদলা নেয় ভারত।
দ্বিতীয় খেলায় বিকেল পৌনে ছয়টায় নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নামে ভারত-পাকিস্তান। প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখায় ভারত। ৬২ মিনিটের মাথায় গোল করেন মাংলেংথাং কিপগেন।
৮৫ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন কিপগেন। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ ছিল না পাকিস্তানের। সংযুক্তি সময়ে ভারতের তিন নম্বর গোল করেন গয়ামসার গোয়ারি। যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখেন পাকিস্তানের আসাদ নাসির। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে জেতে ভারত।
তৃতীয় খেলায় এশিয়ান গেমস হকিতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ১০-২ গোলের বড় ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সব থেকে বড় জয় ছিল ৭-১ গোলের। সেই নজিরও ভেঙে গেছে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সব থেকে বড় জয় ছিল ৭-১ গোলে। শনিবার চীনের মাঠে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেলেন হারমনপ্রীত সিংহেরা।
বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান দু’বার ভারতকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল। ১৯৮০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করাচির মাঠে, ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে দিল্লিতে ৭-১ গোলে পাকিস্তান হারিয়েছিল ভারতকে। ২০১৭ সালে তার বদলা নিয়েছিল ভারত। লন্ডনে ওয়ার্ল্ড লিগ সেমিফাইনালে ৭-১ গোলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছিল ভারত। তিনটি ক্ষেত্রেই জয়ের ব্যবধান ছিল ৮ গোলের। শনিবার ভারত জিতল ১০-২ গোলে। অর্থাৎ, ব্যবধান সেই ৮ গোলেরই থাকল। কিন্তু এই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’অঙ্কের গোল সংখ্যায় পৌছাল ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে চারটি গোল দেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। দু’টি গোল বরুণ কুমারের। একটি কর গোল করেন ললিত উপাধ্যায়, সমশের সিংহ, সুমিত ও মনদীপ সিংহ। পাকিস্তানের হয়ে দু’টি গোল করেন রানা আবদুল আশরাফ ও সুফিয়ান মোহাম্মদ খান।