শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে, আগামী ৩১ আগস্ট এ ছাত্রসমাবেশ করার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ছাত্রসমাবেশ সফল করাসহ সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ছাত্রসমাবেশে নিয়ে আসতে ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠন করেছে। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়নে ও গ্রামে দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, ছাত্রসমাবেশের লক্ষ্যে গত ১০ আগস্ট ‘প্রস্তুতি সভা’ সম্পন্ন করে ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে, ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’, যেখানে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার স্মরণে প্রতিবছর স্মরণসভার আয়োজন করে থাকি। সেই লক্ষ্যে আমরা মাসের শেষ দিন তথা আগামী ৩১ আগস্ট ছাত্রসমাবেশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু এদিন সরকারি ছুটি না থাকায় এবং এইচএসসি পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসে জনদুর্ভোগ তৈরির আশঙ্কা হওয়ায় আমরা সেটা পিছিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) একটি ছুটির দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বরের ছাত্রসমাবেশ হবে এ দেশ ও মানুষের চিরশত্রু, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিএনপি-জামায়াতের জন্য একটি আল্টিমেটাম। এ সমাবেশের মাধ্যমে ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে রাজনীতিতে পরাজিত করতে চায়। এজন্য আমরা প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা করেছি। যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এখানে সমবেত করা যায়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে এ ছাত্রসমাবেশ থেকে এদেশের শিক্ষার্থীরা দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের চূড়ান্ত অনাস্থা জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রীকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় উপহার দেওয়ার শপথ নেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতারা, বিভিন্ন মহানগর শাখার নেতারাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।