• 21 Nov, 2025

নড়াইলে কাজলা নদী দখলের চেষ্টা, সচেতন নাগরিকদের বাধা—প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

নড়াইলে কাজলা নদী দখলের চেষ্টা, সচেতন নাগরিকদের বাধা—প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

নড়াইলে কাজলা নদীর সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে এসেছেন। মাটি ও বালি ভরাট করে নদীর জমি দখলের অপচেষ্টা রুখতে তারা ইতোমধ্যে ভূমি প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। তবুও থামছে না দখল কার্যক্রমের প্রস্তুতি—বাড়ছে নদী সুরক্ষার উদ্বেগ।

নড়াইলকণ্ঠ : নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের আফরা নদী—যা স্থানীয়ভাবে কাজলা নদী নামে পরিচিত—সাম্প্রতিক সময়ে নতুন দখল চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। নদীর পূর্ব পাশে মুলিয়া বাজার এবং পশ্চিম পাশে পানতিতা গ্রাম। আর এই পশ্চিম তীর ঘেঁষে শুরু হয়েছে সরকারি নদীজমি দখলের চেষ্টা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, পানতিতা এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র প্রায় ৫০ শতক পয়স্তি–সিকস্তি সরকারি জমি দখল করতে মাটি ও বালি ভরাটের প্রস্তুতি নিয়েছে। কয়েকদিন আগে নদীর গা ঘেঁষে উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ ভরাটের জন্য ব্যবহৃত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতনরা।

দখল প্রতিরোধে স্থানীয় কয়েকজন নাগরিক ইতোমধ্যেই বাঁধা দেন এবং পুরো বিষয়টি মুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসকে জানান। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার কয়েকজন যুবক ‘পূজার মেলা মাঠ তৈরির’ অজুহাতে নদী দখলের পথ তৈরি করছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, “নদীর জমি দখল করে কে বা কারা ভরাটের চেষ্টা করছেন—আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদী দখলের প্রস্তুতি বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি—অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে নদী হারানোর ঝুঁকি আরও বাড়বে।