বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, প্রতি কেজি কচু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারে সপ্তাহের ছুটির দিন বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে করলা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। আর বাকি সবজিগুলোরও বাড়তি দাম। বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খেতে সাধারণ মানুষের আসলেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যেদিন যখন ইচ্ছে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বাজারে।
![](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024June/vegetable2-20240628113016.jpg)
একই অভিযোগ করে রামপুরা বাজারে আসা আরেক ক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, আগে বাজারে এলে সবজি অন্তত এক কেজি করে কিনতাম। কিন্তু আজকের বাজারে দেখছি সব ধরনের সবজির দামি বাড়তি। সে কারণে বাধ্য হয়ে আধা কেজি করে সবজি কিনলাম। বিক্রেতারা বলছে সরবরাহ কম তাই দাম বেশি। তাই বলে সব ধরনের সবজির দাম এত বাড়তি থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এত দাম হলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে কিনবে?
সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপার বাজারের সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, আজ পাইকারি বাজারেই সব ধরনের সবজিই বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। যে কারণে খুচরা বাজারেও আজ দাম বেশি। আসলে কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি এসেছে কম। এ ছাড়া অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, নতুন করে সেসব সবজি বাজারে ওঠার আগ পর্যন্ত এসবের দাম কিছুটা বাড়তিই থাকবে। সব মিলিয়ে বাজারে সবজি সরবরাহ আগের চেয়ে তুলনামূলক কম। সে কারণেই মূলত সবজির দাম আজ বাড়তি যাচ্ছে।