• 18 May, 2024

ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে বিদেশে সমস্যায় পড়ছেন বাংলাদেশি নার্সরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে বিদেশে সমস্যায় পড়ছেন বাংলাদেশি নার্সরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের নাসৃরা দক্ষ হলেও ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে বিদেশে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নার্সরা অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ। কিন্তু তারা যখন উচ্চশিক্ষা বা কাজের জন্য বিদেশে যান, তখন তারা সমস্যার সম্মুখীন হন। এটি বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অর্থনীতিতে কাজ করছেন। যারা স্বাস্থ্য খাতে কাজ করছেন, তারা অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।’

শুক্রবার ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে 'যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি নার্সদের উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমবিবিএস অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, যখন আমাদের নার্সরা  পেশাগত কাজে বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে যায়, তখন তারা ভাষাগত সমস্যায় পড়ে। কারণ ব্রিটিশ ইংরেজি অন্যান্য ইংরেজি উচ্চারণ থেকে আলাদা। যেসব নার্সিং শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে যেতে চান, তাদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ব্রিটিশ ইংরেজি শেখা ভালো।

বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার মানোন্নয়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান নার্সিং পেশার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, 'ভালো হাসপাতাল মানেই নার্সের ভালো সেবা। এটি একটি মহৎ পেশা। চিকিৎসকরা রোগীদের অপারেশন করেন কিন্তু নার্সরা বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে রোগীদের সহায়তা করেন।’

সেমিনারে বাংলাদেশের নার্সদের বন্ধন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সালফোর্ডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব সালফোর্ডের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ন্যান্সি কুক। বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষা ও পেশার সামগ্রিক পরিস্থিতি ও সুযোগ তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গুলশান আরা বিশ্বাস।

অধ্যাপক গুলশান আরা বিশ্বাস বলেন, 'আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি, আমরা দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি নার্সিং শিক্ষার্থীদের পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারব। নার্সিং শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সহযোগিতায় আমাদের কলেজে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছি।‘