তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের, বিনা ভোটে জয়ী ৬
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় জাতীয় পরিচয়পত্র করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তিকরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। টিম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে। তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাচন অফিস, কক্সবাজার সদর থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।
সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করবে বলে জানিয়েছ দুদক।
অন্যদিকে একই দিন শরীয়তপুর জেলার বিআরটিএ অফিস কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগে মাদারীপুর অফিস থেকে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে অফিসের আশেপাশে দালালদের উপস্থিতি পায়। অভিযানকালে একজন সেবাগ্রহীতার কাছ ঘুষ নেওয়া একজন দালালকে চিহ্নিত করেছে। দুদকের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগী টাকা পান এবং ওই দালালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় টিম। এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আধ্যাবদি দেশ ও তাদের নিজেদের পরিবারের স্বার্থে কঠিন পরিশ্রম করে দেশে অর্থ পাঠিয়ে আসছেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তূ বাস্তবতা হচ্ছে প্রবাসীরা নিজ দেশে নানাভাবে নিগৃহীত, নিপীড়িত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষকে ভারতে নিয়ে যায় একটি চক্র। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে জিম্মি করে ফেলা হয় ভুক্তভোগীকে। পরে টাকার লোভসহ বিভিন্ন কৌশলে চাকরিপ্রত্যাশীদের কিডনি হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এখন পর্যন্ত দেশ থেকে ১০ ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে তাদের কিডনি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।