• 20 May, 2024

পিটার হাসের কুটনৈতিক চালে কি হতে যাচ্ছে সংসদ নির্বাচন?

পিটার হাসের কুটনৈতিক চালে কি হতে যাচ্ছে সংসদ নির্বাচন?

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের উদ্যোগসহ নানামুখী ভূমিকায় বেশ আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তবে তফসিল ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর পিটার হাসের ‘হঠাৎ’ বিদেশযাত্রা সেই আলোচনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

তফসিল কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বোদ্ধামহল সবখানে এখন আলোচনায় পিটার হাস। মার্কিন এই দূতের ঢাকা ত্যাগ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি'।

গতকাল দুপুরে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কলম্বো গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।  ছুটি নিয়ে দেশটিতে অবকাশ যাপনে যাওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে তার সহধর্মিণীও রয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। তবে নির্বাচন ঘিরে কয়েকমাস ধরে আলোচনায় থাকা পিটার কেন হঠাৎ ছুটিতে কলম্বোয় যেতে হবে, তা নিয়েও বিভিন্ন সমীকরণ মেলাচ্ছেন কেউ কেউ।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা এবং ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও এর বেশি কোনো মন্তব্য করেননি কেউ।

অবশ্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সস্ত্রীক শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর উদ্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা ছেড়ে গেছেন।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কোথায় গেছেন, সেটা সরকার জানে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না।

কিন্তু গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি (থ্রিসি) কার্যকর থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।