শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নড়াইল শহরে নার্সিং ইনস্টিটিউশনের উল্টো দিকে প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
“স্কুল অব সাইন্স” এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রবিউল ইসলাম।
এর আগে “বর্তমান সময়ে সন্তানদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপায়” শিরোনামে আলোচনা উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক “মানারত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল কর্ণেল (অব.) জেড.আর.এম আশরাফ উদ্দিন (পিএসসি,জি)। এ সময় তিনি তার উপস্থাপনায় তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেন এবং এ বিষয়ের উপর তিনি বিস্তারিত আলোচনা রাখেন। তিনিটি বিষয়ের মধ্যে ছিলো- প্রথমত: ভাষা, দ্বিতীয়ত: লজিক (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অংক ও বিজ্ঞান) এবং তৃতীয়ত: নৈতিকতাবোধের উপর শিক্ষায় স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তোলা। "
“অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, “স্কুল অব সাইন্স” এর প্রধান উপদেষ্টা ও ইউডিসি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার কালাম হোসাইন। তিনি তার বক্তেব্যে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্ততা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল সাইফুল আবদার এর সঙ্গে আমার সেভারেল সময়ে কথা হয়েছে তাতে আমি বুঝেছি প্রতিষ্ঠানের কারিকুলাম ও শিক্ষা পদ্ধতিতে বিশ্ব মানের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা যাবে।”
“তিনি অভিভাবক ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, “আপনার ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করেন, খোঁজ-খবর নেন এবং যারা আমরা শিক্ষার মানন্নোয়ন করতে চাই তাদের সামথ্য অনুযায়ি আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, “স্কুল অব সাইন্স” এর প্রধান নির্বাহী শাহাজান মিরাজ ; সবুরোনেছা ডিগ্রী মহিলা কলেজ, খুলনার ভাইস প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলাম নোমান ; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নড়াইল জেলা শাখার আমির ও আলকুবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বাচ্চু ; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
“এর আগে “স্কুল অব সাইন্স” এর উদ্যোগক্তা প্রতিষ্ঠাতা প্রিনন্সিপাল সাইফুল আবদার স্কুলের শিক্ষাপদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখেন।
‘স্কুল অব সাইন্স’ প্রতিষ্ঠাতাদের মতে, একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনটি স্তম্ভ থাকা জরুরি-
০১. ভাষা শিক্ষা, যাতে শিক্ষার্থী প্রকাশ ও যোগাযোগে দক্ষ হয়।
০২. লজিক বা যুক্তিবোধ (অঙ্ক ও বিজ্ঞান), যা তাদের বিশ্লেষণী চিন্তাশক্তি গড়ে তোলে।
০৩. নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ, যা শিক্ষাকে অর্থবহ করে তোলে।
এই তিনটি দিককে সমান গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়েই নড়াইলের প্রথম বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুলটি যাত্রা শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক মানের ক্লাস সিস্টেম:
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষত্ব হলো- প্রতি ক্লাসে সর্বোচ্চ ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস ব্যবস্থাপনা করা হবে, যা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থার অনুকরণে সাজানো হয়েছে।”
“উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩য় শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে। ”
“প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানাযায়, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির মাসিক বেতন ৪ হাজার টাকা; ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণির মাসিক বেতন ৫ হাজার টাকা এবং ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির জন্য ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তিও সময় ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির জন্য ভর্তি ফরম বাবদ ৫০০ টাকা, ভর্তি ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা, পরীক্ষা ফি বাবদ ১২০০ টাকা, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ফি বাবদ ৫০০ টাকা, বাৎসরিক ভোজ বাবদ ৩০০ টাকা মোট ১২, ৫০০ (বারো হাজার পাঁচ শত) টাকা এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম ও ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির জন্য একই ফি গ্রহণের রেখে শুধু পরীক্ষার ফি ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণির ১৩০০ শত টাকা এবং ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির জন্য ১৫০০ শত টাকা রাখা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।