নড়াইল-যশোর মহাসড়কের দুপাশের বিল জুড়ে অবারিত সবুজের মাঝে ফুটে আছে রাশি রাশি মনোমুগ্ধকর কচুরি ফুল। এ-যেনো মনের মাধুরী দিয়ে রং আর তুলির ছুঁয়ায় শিল্পীর হাতে আঁকা বাংলার প্রকৃতির এক অপরূপ ছবি। কচুরি ফুলের মেলে ধরা পাপড়ির স্নিগ্ধকর সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করছেন এলাকাবাসি সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা। এই ফুলের সুবাস না থাকলেও এর নান্দনিক রূপ-বৈচিত্রে মুগ্ধ হচ্ছেন সকলে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দুপাশের বিলে জমে থাকা পানিতে ফুটে আছে অজ¯্র কচুরিপানার ফুল। আর এই ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই একটু দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন এর অপার সৌন্দর্য। ফুলের রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফুলের সাথে ছবি তুলতে দেখা গেছে অনেক তরুণ-তরুণীকে। কিশোরী আর তরুণীর চুলের খোপায় স্থান পেয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য কচুরি ফুল।
নড়াইলে মামার বাড়ীতে বেড়াতে এসেছেন ঢাকার বাসিন্দা সাদিয়া আফরিন। কচুরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসলে কথা হয় তার সাথে। তার কাছে অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি খুব’ই এক্সাইটেড ফিল করছি, কারণ কচুরি ফুলের সৌন্দর্য জীবনে এই প্রথম বার আমি এত কাছ থেকে দেখছি। এ-এক অন্য রকমের অনুভূতি।
জেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা (কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছেন) অনুপম রায় বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে খাল-বিল, নদী-নালা, ডোবা, কচুরিপানায় ভরে যায়। কচুরিপানা শুধু যে ফুল ফুটিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আমাদের মনের খোরাক জোগাচ্ছে তা কিন্তু নয়! এই কচুরিপানা মাটির শক্তি যোগাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এর থেকে তৈরী হওয়া জৈবসার ব্যবহার করে কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে অধিক লাভবান হচ্ছেন। আর এক’ই সাথে গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও রয়েছে এর ব্যাপক ব্যবহার। এখন তো শীতের মৌসুম তাই বিলের পানি কমতে শুরু করেছে আর সেই সাথে কচুরি ফুলও ফুটতে শুরু করেছে তার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে।