বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম শমসের আলীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বৃহত্তর যশোর ডিরেক্টরির নির্বাহী পরিষদ এ আয়োজন করে।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান। এতে বক্তব্য রাখেন—যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ, ইব্রাহীম কার্ডিয়াক ও বারডেম হসপিটালের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহাবুবুল আলম গোরা, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. ফাতেমা আশরাফ, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানীসহ শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রকাশক ও সাংবাদিকরা।
সভার স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর ডিরেক্টরির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বিপুল। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির বক্তব্যও প্রচার করা হয়।
বক্তারা বলেন, ড. শমসের আলী ছিলেন একাধারে বিজ্ঞানী, বাগ্মী ও ইসলামি চিন্তাবিদ। তিনি বিজ্ঞানের আলোকে আল-কোরআনের মর্ম বিশ্লেষণ করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিয়েছেন। সমাজে ইসলাম ও বিজ্ঞানের বিরোধ তৈরির ভুল ধারণাকে ভেঙে দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, এ দু’টি একে অপরের পরিপূরক।
বিচারপতি আবদুল মান্নান বলেন, “ড. শমসের আলী শুধু বাংলাদেশের নয়, আন্তর্জাতিক মানের একজন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”
প্রফেসর আব্দুল মজিদ বলেন, "তরুণ প্রজন্মের জন্য তার জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ ও আলোচনা হওয়া জরুরি। এতে তারা বড় স্বপ্ন দেখতে পারবে।"
প্রফেসর আব্দুর রশীদ বলেন, "তিনি ক্ষণজন্মা মনিষী। তার কর্ম শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রাসঙ্গিক।"
মাহবুবুল আলম গোরা বলেন, "ড. শমসের আলী ছিলেন হীরকদ্যুতির মতো ব্যক্তিত্ব। বিজ্ঞান ও ধর্মকে সমান্তরালে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তিনি অনন্য ছিলেন।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্মরণ করিয়ে দেন, "বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা বাস্তবায়ন ও বিস্তারে তিনি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন।"
বক্তারা সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব করেন, ড. শমসের আলীর কর্ম নিয়ে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা এবং একটি স্বারক গ্রন্থ প্রকাশ করা উচিত, যাতে তার চিন্তাধারা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়।