সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভওয়াখালি, আলাদাতপুর, ভাদুলিডাঙ্গা, মহিষখোলা, কুড়িগ্রাম আশ্রম রোড় এলাকাসহ নড়াইল পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির উঠান, টিউবওয়েল, রান্নাঘরে পানি ঢুকে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে মশারি দিয়ে অনেককে মাছ ধরতেও দেখা গেছে।
নড়াইল পৌরসভা ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভাটিতে প্রয়োজন ৫৫ কিলোমিটার নালার। কিন্তু আছে মাত্র তিন কিলোমিটার। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই সামান্য। ফলে পর্যাপ্ত নালা ব্যবস্থা না থাকা, যা আছে তা অচল এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে প্রতিবছর সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পৌরসভা থেকে সাময়িক কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান এখনও হয়নি।
আলাদাতপুর এলাকার বাসিন্দা সোহাগ বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের অফিসের ভেতর পানি ডুকে বিভিন্ন কাগজপত্র নষ্ট হয়েচে। এছাড়া অফিসের সামনে যে রাস্তা, সেখানে হাঁটুপানি হয়ে গেছে। বাজারঘাটে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। সকাল থেকে আমাদের এলাকার মানুষজন সড়কে মাছ মারতেছে। আমরা পানিবন্দি জীবনযাপন করতেছি।
এক গৃহবধূ বলেন, হঠাৎ করে রাত ১২টার দিকে দেখি চারপাশে পানি আর পানি। পানি ঘরে উঠে যাচ্ছে। ড্রেন ভেঙে বন্ধ হয়ে গেছে, এখন এই পানি বের হবে কি করে। বৃষ্টি নামলেই এখানে এরকম পানি জমে থাকে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ওহাবুল আলম বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য শহরে প্রয়োজন প্রায় ৫৫ কিলোমিটার নালা নির্মাণের। যার জন্য বড় ফান্ড প্রয়োজন। ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা গেলে নির্মাণের মাধ্যমে এ সমস্যার অনেকটা সমাধান করা সম্ভব।