• 06 May, 2024

রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত, মার্চে বেড়েছে ১০ শতাংশ

রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত, মার্চে বেড়েছে ১০ শতাংশ

সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে রপ্তানি আয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৫১০ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫৬ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চের চেয়ে এ আয় ১০ শতাংশ বেশি।

আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল ৫১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। সেই মাসেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এর আগে জানুয়ারি মাসেও রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা ছিল।

টানা তিন মাস পণ্য রপ্তানি বাড়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হারও বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়লেও অন্যান্য বড় খাতগুলোর রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রথম ৯ মাসে ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রপ্তানি ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি তালিকার শীর্ষে থাকা পণ্যে রপ্তানি কমেছে গত ৯ মাসে। জুলাই ২৩ থেকে মার্চ ২৪ সময়ে পাট ও পাট-পণ্যের রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চামড়া ও চামড়া পণ্যের রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। আরও অনেক পণ্যের রপ্তানি কমার প্রবণতার মধ্যে রয়েছে। অবশ্য কৃষি পণ্যের রপ্তানি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে এবং প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।