এ নির্দেশে ওয়াগনার সেনাদের তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের হলফনায় তাদের স্বাক্ষর করতে হবে। এরমাধ্যমে মূলত ওয়াগনারকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেন পুতিন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াগনার সেনাদের বাধ্যতামূলকভাবে আনুগত্যপত্রে স্বাক্ষর করার অর্থ হলো— এই বাহিনীটিকে রাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুতিনের সেই ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করছেন অথবা সহায়তা করছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্যের হলফনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যোদ্ধাদের অবশ্যই রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে, কমান্ডার ও তাদের উর্ধ্বতনের নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সচেনতভাবে সেগুলোর বাধ্যবাধতকা পূর্ণ করতে হবে।’
এদিকে প্রিগোজিন প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর তার মৃত্যুর জন্য অভিযোগের তীর ছোড়া হচ্ছে পুতিনের দিকেই। কারণ গত ২৩ জুন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন প্রিগোজিন। ওই বিদ্রোহ নিয়ে ওয়াগনার প্রধানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
গতকাল রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভ দাবি করেন, প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— এমন দাবি পুরোপুরি ‘মিথ্যা।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান