• 02 May, 2024

নড়াইলে তিন ইউনিয়নের চাষীদের ঝোঁক এখন পান চাষে

নড়াইলে তিন ইউনিয়নের চাষীদের ঝোঁক এখন পান চাষে

মাসুম জব্বারী, নড়াইলকণ্ঠ প্রতিনিধি : পান একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। অনেকে নিয়মিত আবার অনেকে শখের বসেও পান খেয়ে থাকেন। নিয়মিত পান খাওয়ার অভ্যাস প্রবীণ মানুষদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হয়।

জেলা সদরের বিছালী, কলোড়া এবং সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটা বাড়িতে রয়েছে পানের বরজ। মাচার উপর সারিবদ্ধ পানপাতা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। সারা বছর ফলন এবং লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের অনেক কৃষক’ই ঝুঁকে পড়ছেন পান চাষের দিকে।

এ অঞ্চল গুলিতে প্রায় পাঁচশত পানের বরজ রয়েছে। সিঙ্গাশোলপুরের ইউপি সদস্য মতিয়ার শেখ এ বিষয়ে বলেন, আমি নিজে পানের চাষ করি এবং ২বিঘা নিয়ে আমার পানের বরজ রয়েছে। অত্র অঞ্চলে আমার বরজটি সব থেকে বড়। অরুন রায় নামের এক পান চাষী বলেন, পঞ্চাশ বছর ধরে আমি পান চাষ করছি। গেলো গত ২-৩ বছর পানে আমার তেমন লাভ হয়নি দাম কমের কারণে। তবে এ বছর পানের বাজর ভালো, মুটামুটি ভালো দামের আশা করছি। এ সময় কথা হয় অত্র অঞ্চলের আব্বাস বিশ্বাস, ধ্রুব বাগচী, দুর্যোধন বৈরাগী, দেবু বাগচী এবং মোঃ জিহাদ বিশ্বাস সহ আরো বেশ কয়েক জন পান চাষীর সঙ্গে।

দোআঁশ এবং বেলে দোআঁশ মাটিতে পানের ফলন হয়ে থাকে। একটা পান গাছ আড়াই থেকে তিন বছর ভালো ভাবে পান পাতা দিয়ে থাকে এবং বেশির ভাগ সময় কার্তিক মাসের দিকে পান গাছের প্রতিটা গিটে গিটে নতুন পোঁট আসে। এই পোঁট থেকে পান পাতা বেরোনোর ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় পান পাতা খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। এ সময় বরজ থেকে পান চাষীরা কেউ এক কুড়ি বা ৬৪ পোন, আবার কেউ দুই কুড়ি বা ১২৮ পোন, পান পাতা সংগ্রহ করেন। এবং তা পান ব্যাপারীদের কাছে কুড়ি প্রতি ৩,৫০০ টাকা থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন। 

এ অঞ্চলে ঝাল পান এবং হুগলী পান বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এ অঞ্চলের পান স্থানীয় বাজার ও জেলা শহরের বাজার এবং ঢাকা সহ সারাদেশে বিক্রি হয়ে থাকে।