• 07 May, 2024

নড়াইলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তায়নে প্রশিক্ষণ

নড়াইলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তায়নে প্রশিক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নড়াইলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় নড়াইল জেলা প্রশাসন এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।  

দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়নার সভাপতিত্বে মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইয়ের হোসেন চৌধুরী ।

বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব আনজুমান আরা, সিভিল সার্জন, কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক দীপক রায়, সমাজসেবার দপ্তরের উপপরিচালক রতন কুমার হালদার, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আনন্দ মোহন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি কাজী হাফিজুর রহমান, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, এইড এনজিও’র কাজী হাসিবুল, নিপাদ সড়কের সৈয়দ খায়রুল আলম প্রমূখ।   

উত্থাপিত প্রবন্ধের উপর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও তামাকমুক্তকরণে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে ধূমপানমুক্তকরণ, তামাক বিরোধী প্রচার-প্রচারণা এবং তামাক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন অপসারণে করণীয় সম্পর্কে ৪টি দলীয় আলোচনা থেকে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।

দলীয় আলোচনায় সুপারিশ সমূহের মধ্যে ছিলো, সরকারি সকল মিটিং, সেমিনার, আলোচনা সভায় ৫ (পাঁচ) মিনিট সময়কাল পর্যন্ত তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর ও ভয়াবহতার উপর আলোচনা রাখা; ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে লিপলেট তৈরি করে তা ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন ও প্রদর্শন করা; সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করা; তামাক বিরোধী পথ নাটক প্রদর্শন; মসজিদ ও মন্দিরে  ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সমূহ উল্লেখ করে আলোচনা করা; সকল গণমাধ্যমে (প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন সংস্করণ) তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর ও ভয়াবহতার সচিত্র ছবি বা ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রদর্শন করা; জেলা উপজেলা পর্যায় টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত করা এবং কমিটির সিদ্ধান্ত সমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত কার; মোবাইল কোর্ট জোরদারকরণ, সকল যান ও ননযান পরিবহণে ধুমপান ও তামাকজাত দব্যের ক্ষতির ছবিযুক্ত স্টিকার প্রদর্শন; ডাক্তারের নিকট রোগী আসলে প্রথমেই তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে সে ধুমপান বা তামাক ব্যবহার করে কি না, যদি সে ধুমপান করে তাহলে সে এটা না ছাড়ে চিকিৎসা দেয়া হবে না বলে চিকিৎসক রোগীকে জানাবেন; সোস্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন বন্ধে প্রয়োজনে আইনের সংশোধনী আনা; প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে একটি করে ধুমপান ও তামাক বিরোধী প্রচারণার বিলবোর্ড প্রদর্শন করা প্রভৃতি।            

প্রশিক্ষণ সমাপনীতে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব আনজুমান আরা এসব সুপারিশের উপর মতামত ব্যক্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।