• 14 Dec, 2024

নড়াইলে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা পর্যায় আলোচনা সভা

নড়াইলে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা পর্যায় আলোচনা সভা

‘চলো আমরা করি প্রতিবাদ, সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড’ এই শ্লোগান গানকে সামনে রেখে জেলা তথ্য অফিসার মো: রুস্তোম আলী আলোচনার সুবিধার্থে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের একটি তথ্য তুলে ধরেন।

নড়াইল জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত জেলা “শিশু কিশোর -কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জেলা পর্যায় মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর অর্থায়নে জেলা তথ্য অফিস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

‘চলো আমরা করি প্রতিবাদ, সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড’ এই শ্লোগান গানকে সামনে রেখে জেলা তথ্য অফিসার মো: রুস্তোম আলী  আলোচনার সুবিধার্থে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের একটি তথ্য তুলে ধরেন।  

নবাগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহসান মাহমুদ রাসেল সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুর রশিদ, সদরের ইউএনও সঞ্চিতা বিশ্বাস, কোর্ট পরিদর্শক সুরেস চন্দ্র, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি মজুমদার, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো: কামরুজ্জামান, হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের জেলা কর্মকর্তা দেবাশীষ গাইন, নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের  সিনিয়র শিক্ষিকা সুলতানা বেগম, রূপগঞ্জ ইসলামিয়া দখিল মাদরসার অধ্যক্ষ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, সাংবাদিক জিয়াউর রহমান জামী, এনজিও ব্র্যাকের কর্মকর্তা প্রমুখ। 
  
বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শিশুর প্রতি কোন সহিংসতা কাম্য নয়। সিনেমা প্রদর্শনী, টিভিএস, বিলবোর্ড স্থাপন, টিনবোর্ড প্রদর্শন, ব্যানার এবং সামাজিক নেতাদের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে সচেতনতা তৈরি করা হবে।

27nov202403.jpgঅনুষ্ঠানে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে কতিপয় প্রস্তাবনা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীগণ। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাল্যবিবাহ অনলাইন নিবন্ধন চালু করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল সেট ব্যবহারে কিছু বিধি নিষেধ করা; সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আয়বর্দ্ধক কাজের সাথে মেয়েদের সম্পৃক্ত করা; সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা; শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা; পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনটা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। দেশের মধ্যে খুলনা বিভাগ রয়েছে বাল্যবিয়ের শীর্ষে। আর খুলনা বিভাগে সর্বাধিক বাল্যবিয়ের হার নড়াইল জেলায় ৭১ শতাংশ। এর পরে রয়েছে ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা।