‘মুজিববর্ষে কেউ থাকবে না গৃহহীন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে নড়াইলে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে নড়াইলসহ দেশের পাঁচটি জেলার বীর নিবাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেলহক, এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চাবি হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্বোধন শেষে নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন অতিথীরা।সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুর রশীদ, খেুলনা রেঞ্জের পুলিশ কমিশরার মঈনুল হক, বিপিএম(বার) পিপিএম, জলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, স্থানীয় সরকার বিভাগ নড়াইলের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুকাইনা, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম কবির, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সহ-সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।নড়াইল জেলায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩১৬টি বাসস্থান (বীর নিবাস) বরাদ্দ করা হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪২টি, লোহগড়া উজেলায় ১৭৪টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১০০টি।এজন্য মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩৩০ টাকা।প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১৩ লাখ ৪৩ হাজর ৬১৮ টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা।এর মধ্যে ১ম ধাপের ৮৭টি বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬টি, লোহাগড়া উপজেলায় ২৯টি এবং কালিয়া উপজেলায় ৪২টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি বীর নিবাসে রয়েছে ২টি শোয়ার ঘর (বেডরুম), ১টি ড্রইং, ১টি ডাইনিং, ২টা বাথরুম-টয়লেট ও ১টি বারান্দা।এছাড়া ঘরের বিদ্যুতায়নসহ সুপেয় পানির জন্য স্থাপন করা হয়েছে সাবমারসিবল পাম্প (মটরসহ গভীর নলকুপ)।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং জেলা প্রশাসনের তদারকিতে উপজেলা প্রশাসন এসব বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।