• 25 Apr, 2024

নড়াইলে নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

নড়াইলে নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

১৭ মার্চ ২০২৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী।

নড়াইলকণ্ঠ  ১৭ মার্চ ২০২৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে সরকার। যথাযোগ্য মর্যাদায় নড়াইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী  জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।

 উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মার্চসূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারিআধা সরকারিস্বায়ত্বশাসিত  বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় শহরের পুরাতন টার্মিনালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব  ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নড়াইল- আসনের সংসদ সদস্য কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাজেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসপুলিশ সুপার মোসাসাদিরা খাতুনসদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোনিজাম উদ্দিন খান নিলুঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিকমোফকরুল হাসাননড়াইল পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা।

image-4.png

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দযুবলীগস্বেচ্ছাসেবকলীগজেলা মহিলা আওয়ামীমহিলা যুবলীগছাত্রলীগকৃষকলীগজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগশ্রমিক লীগমুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন সরকারিবেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ  কেক কাটা হয়।

এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। একই মঞ্চে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতাপুষ্টি  খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

image-5.png

এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসাসাদিরা খাতুনসিভিল সার্জনগণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিকফকরুল হাসাননড়াইল পৌরসভার মেয়র আনঞ্জুমান আরাউপজেলা নির্বাহী অফিসারবীরমুক্তিযোদ্ধাসরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণশিক্ষকসামাজিক  সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শিশুরা।

দিবসটি পালন উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার  এলইডি স্কিনে বঙ্গবন্ধুর জীবনী  মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডকুমেন্টরি প্রদর্শনহাসপাতালকারাগারশিশু পরিবার  এতিমখানয় মিষ্টান্ন বিতরণ  উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভারচনা  চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

image-6.png

উল্লেখ্য১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিবাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

নিপীড়িত মানুষের নেতাগণমানুষের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সমাদৃত। বিশ্বনেতাদের চোখে তিনি হিমালয়সম। প্রতি বছর  দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মবার্ষিকী  জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করছে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশের প্রথম রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্ব^াধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে তার খ্যাতি ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। তার  মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে।  ভাষণের অন্য নাম বজ্রকণ্ঠ সার্বিকভাবে বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নামযে আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলবিশ্বের বুকে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তার ত্যাগ  সংগ্রাম আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হয়ে ধরা দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের সামনে। ব্যক্তিস্বার্থলোভমোহপদ-পদবির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। তিনি কখনো ক্ষমতার পেছনে ছোটেননি। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য।

শেখ লুৎফর রহমান  সায়েরা খাতুনের চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ছিলেন তৃতীয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে মারা যান বঙ্গবন্ধু। সেদিন তার দুই কন্যা ছাড়া পরিবারের অন্য সব সদস্য প্রাণ হারান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে 

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী  শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথমসারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ওই সময় থেকে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে  জাতিকে মুক্ত করতে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হলে তরুণ নেতা শেখ মুজিব দলটির যুগ্ম-সম্পাদক নিযুক্ত হন। পরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধু ৫২- ভাষা আন্দোলন৫৮- আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন  ৬২- শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের এসব আন্দোলনের কারণে বারবার কারাগারেও যেতে হয় তাকে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে ১৯৬৬ সালের  ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠায়। ৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে।

৭০- নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেট লাভ করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির  নির্বাচনি বিজয়কে মেনে নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন।

৭১-এর মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে  মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজনসমুদ্রে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেনএবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রামএবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম  ভাষণে সেদিন ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিক নির্দেশনা দেন শেখ মুজিবুর রহমান। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার- অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

৭১-সালে ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং  লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বীর বাঙালি ৭১-সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশভূমিতে ফিরে সদ্য স্বাধীন দেশের পুনর্গঠন  পুনর্বাসনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৫ আগস্টের কালরাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান হয়। স্বাধীনতাগণতন্ত্র  বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্যও তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত। এসব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে  জনের ফাঁসির রায় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়। এর মধ্যদিয়ে জাতির ইতিহাসের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এসকল অনুষ্ঠানমালার আয়োজক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি