গতকাল বুধবার (১৫ মে) রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার গোপিকান্তপুর গ্রামে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া আশরাফ খান মাহামুদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে তিনি নিজ এলাকা গোপিকান্তপুরে স্থানীয়দের সাথে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের আনারস প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক একই সময়ে প্রচারে এসে খান মাহামুদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায় আশরাফ খান মাহামুদকে মারধোর করে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত আশরাফ খান মাহামুদকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর প্রেরণ করেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে নড়াইলকণ্ঠ এর প্রতিনিধি চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফানকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ঘটনা সম্পর্কে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: আজিজুর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল (১৫ মে) রাতে আমি অন্য একটা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলাম। পরে জানতে পারি শাহাবাদ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আশরাফ খান মাহামুদকে কে বা কারা মারধর করেছেন। তবে এটা নির্বাচনী সহিংসতা নয়। আর আমার কোন সমর্থক বা কর্মী এঘটনার সাথে যুক্ত নয়। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এইসব নাটক সাজিয়ে নির্বাচনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতে শাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ খান মাহামুদকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।