জেলার কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।মোট আবাদ হওয়া ৫০শতাংশ জমির ধান ইতোমধ্যে কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলার ৩ উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষাবাদেরলক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে।কৃষি বিভাগের তৎপরতা ও কৃষকদের আগ্রহে আমন চাষাবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।আবাদ হওয়া জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩১৩ টন চাল।বিগত কয়েক বছর যাবত ধানের উৎপাদন ও মূল্য ভালো পাওয়ায় জেলার কৃষকরা বেশ খুশি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মওসুমে সদর উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) দীপক কুমার রায় জানান, সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়ায় প্রতিবছর রোপাআমন চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। রোপা আমন কাটা শেষে কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নিবেন।বর্তমানে বাজারে ধান ও চালের দাম সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।আমন ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান ডিডি দীপক কুমার রায়।