• 24 Apr, 2024

নড়াইল জেলা পরিষদ-পৌরসভার মধ্যেকার জমি-জমার জটিলতা বাড়ছে!

নড়াইল জেলা পরিষদ-পৌরসভার মধ্যেকার জমি-জমার জটিলতা বাড়ছে!

নড়াইল জেলা পরিষদ-পৌরসভার মধ্যেকার জমি-জমার জটিলতা বেড়েই চলেছে। পৌরসভা উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করলে জেলা পরিষদ তাতে বাধ দেয় বলে অভিযোগ করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে জেলা পরিষদ বলছে পৌরসভা আমাদের জায়গায় জোর করে কাজ করছে। পৌরসভার দুইটি প্রকল্পের জমি নিয়ে এ জটিলতা শুরু হয়েছে।

অপরদিকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগের শুনানী হয়েছে। বুধবার সরেজমিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কালিদাস ট্যাংক এলাকায় তদন্ত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না আসলে তার সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস ও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বাকবিন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না উভয় পক্ষকে তার কার্যালয়ে কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলেন। সেখানে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

জানাগেছে, নড়াইল পৌরভবনের পেছনের একটি পুকুর বিউটি ফিকেশনের নামে প্রায় ৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করে। গত বছরের ২২ অক্টোবর নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা এ প্রকল্পর উদ্বোধন করেন। এ সময় বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসও উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি ঠিকাদার তাদের মালামাল রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বললে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই পুকুরের উত্তপাশের দেয়াল ভাংতে গেলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পুকুর নিজেদের দাবি করে বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার রশি টানাটানি শুরু হয়। থমকে যায় উন্নয়ন কার্যক্রম।

মহিষখোলা মৌজার ৫২৮নং দাগ জমির পরিমান ২ একর ৫শতক এটি কালিদাশ ট্যাংক পুকুর নামে পরিরিচিত। একই মৌজার ৫৩৯ নং দাগে জমির পরিমান ১ একর ১ শতক এটি জগদিশ ট্যাংক পুকুর নামে পরিচিত।

কালিদাশ ট্যাংক পুকুরটিকে “লাল মিয়া বিউটিফিকেশন” নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করে পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা।

অপরদিকে জগদিশ ট্যাংক পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে এখানে আধুনিক কষায় খানা নির্মানের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্প গ্রহন করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। দুইটি প্রকল্পর জমির মালিকানা দ্বন্দ্বের কারনে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা বলেন, এসব জমির কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে, আমরা খাজনাও দিচ্ছি। তদন্তের জন্য আমাদের ডাকা হলে পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা আমাদের কাগজপত্র দেখিয়েছি এবং লিখিত বক্তব্য দিয়েছি।

অপরদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস নড়াইল নিউজ ২৪.কমকে বলেন, সকল কাগজপত্র জেলা পরিষদের নামে। সম্প্রতি প্রিন্ট পর্চায় পৌরসভার নামে হওয়ায় তারা এসব জমি নিজেদের দাবি করছেন।

তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়সহ সব যায়গায় বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছিলাম তার তদন্ত চলছে। আমরা আমাদের সকল কাগজপত্র সেখানে দেখিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কালিদাশ ট্যাংক পুকুরটি বিউটিফিকেশন হলে আপত্তি নেই তবে অবশ্যই জেলা পরিষদের মালিকানা মেনে নিয়ে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।