• 01 May, 2024

নাগরিকদের ‘শিগগিরই’ মিসর-জর্ডান ত্যাগের নির্দেশ ইসরায়েলের

নাগরিকদের ‘শিগগিরই’ মিসর-জর্ডান ত্যাগের নির্দেশ ইসরায়েলের

ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধকে ঘিরে মিসর ও জর্ডানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এ দু’টি দেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের ‘শিগগিরই’ ফিরে আসার বার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমরা লক্ষ্য করছি যে গত কয়েক দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে আরব ভূখণ্ড ও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।’

‘মিশর ও জর্ডানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই দুটি দেশকে লেভেল ৪ (সর্বোচ্চ হুমকি) পর্যায়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। আর মরক্কোকে লেভে ৩ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

‘নাগরিকদের প্রতি কাউন্সিলের আহ্বান— যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা যেন মিসর ও জর্ডান ভ্রমণ না করেন। এমনকি বর্তমানে এ দু’টি দেশে ইসরায়েলের যেসব নাগরিক অবস্থান করছেন, তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব ইসরায়েলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

‘সেই সঙ্গে নাগরিকদের আরও বলা হচ্ছে, যুদ্ধ থামার আগ পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত মরক্কোতে ভ্রমনের কোনো প্রয়োজন নেই।’

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের সীমান্ত ইরেজ দিয়ে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ), যা এখনও চলছে।

গত দু’সপ্তাহের যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক, আর গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজার ১৩৭ জনে। ইসরায়েল ও গাজায় নিহতদের অধিকাংশেই বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া হামলার প্রথম দিন ইসরায়েল থেকে ২০০ মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। ইসরায়েলের এই অবস্থানকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে  যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা।

এর বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।

সূত্র : এএফপি, সিএনএন