• 27 Jul, 2024

‘কৃষিমন্ত্রীর আসনে মনোনয়ন চাওয়ায় আমার অপরাধ’

‘কৃষিমন্ত্রীর আসনে মনোনয়ন চাওয়ায় আমার অপরাধ’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এজন্য টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের নৌকার প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকে দায়ী করেছেন তারা।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছারোয়ার আলম খান আবু।

লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক ছারোয়ার আলম খান আবু বলেন, ‘গত ২২ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মিথ্যা ও অগঠনতান্ত্রিক। আমরা তাদের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে দলের পক্ষে এমন সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী।’

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছিলাম এই অপরাধের দায়ে গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাহেব তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উপজেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি, আমার বাসা, আমার অফিস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব সাহেবের কাজী ডিজিটাল হাসপাতাল ও নেতাকর্মীদের ৬০-৭০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। যা জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’

‘শুধু তাই নয়, তৃণমূল থেকে আগত ওয়ার্ড/ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের মারধর করেন। অনেকে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের নির্দেশে তার সমর্থকরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভাজন করে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।’ 
ছারোয়ার আলম খান আবু অভিযোগ করেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয় ও নির্বাচন পরিচালিত হয়। কিন্তু মধুপুর নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও কেন্দ্র কমিটি আমাদের না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তার অতি উৎসাহী, অনুগত, হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করেছেন। যা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতার শামিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক ছারোয়ার আলম খান আবু বলেন, ‘আমি যেহেতু নির্বাচনে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি, তাই নৌকার পক্ষেই কাজ করে যাব। যেহেতু নৌকার পক্ষে আছি, সেহেতু ওনার (আব্দুর রাজ্জাক) পক্ষেই থাকা হলো।’

এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সেই সাথে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এককভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে একটি কপি দেওয়া হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এমএসআই/এমজে