এমনকি গাজায় বর্বরতার জেরে অনেক স্থানেই ইহুদিবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ইহুদি-বিদ্বেষ থেকে ফ্রান্সের সকল ইহুদিকে রক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন ইহুদি-বিদ্বেষ থেকে সকল ফরাসি ইহুদিকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ফ্রান্স ইন্টারকে সোমবার তিনি বলেছেন, ‘বিদ্বেষী’ কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরাসি ইহুদিদের ‘উদ্বেগ’ তিনি বুঝতে পারেন এবং বলেন, ‘তাদের রক্ষা করার জন্য সরকার সবকিছু করছে, আমরা তাদের সাথে আছি।’
তিনি বলেন, ইহুদি-বিদ্বেষের মতো কর্মকাণ্ড বিভিন্ন রূপে হতে পারে। যেমন বিক্ষোভের সময় (ইহুদি-বিরোধী) স্লোগান, সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, বা শারীরিক আক্রমণ।
এর আগে গত রোববার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ১ হাজার ৪০টি ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’ কর্মকাণ্ড রেকর্ড করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় ৪৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সেসময় জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে চার হাজারেরও বেশি শিশু।
ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।
একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। এতে করে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা খাদ্য, জ্বালানি, খাবার পানি ও ওষুধের সংকটে পড়েছেন।
আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি হামলায় বিপুল সংখ্যক হতাহত এবং ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির ঘটনার পাশাপাশি ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য মৌলিক সহায়তা সরবরাহও প্রয়োজনের তুলনায় কম হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাতে দেশে দেশে রাস্তায় নেমেছেন। যদিও ফ্রান্সে ফিলিস্তিনপন্থি কিছু বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে।