খাদ্যসহ আনুষঙ্গিক উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি চিংড়ির দাম।এতে বিপাকে নড়াইলের চাষিরা। সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজারদর নির্ধারণসহ সরকারি সহযোগিতার দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচএম বদরুজ্জামান বলেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে বিকল্প চিংড়ি খাদ্য ব্যবহার করতে হবে।
জানা যায়, নড়াইলে খামারে খামারে চলছে চিংড়ি চাষ।সঠিক পরিচর্যা আর অনুকূল পরিবেশে কয়েক বছরে চিংড়ির উৎপাদন বেড়েছে।কিন্তু চড়া দামে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক উপকরণ কিনে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় এ খাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
জেলায় আকারভেদে প্রতি কেজি চিংড়ির দাম কমেছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।ফলে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম অবস্থা বলে জানান চাষিরা।এতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজারদর নির্ধারণসহ সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান তারা।
চাষিরা বলেন, আগে ২৫ কেজির মাছের খাবারের বস্তা ১ হাজার টাকায় পাওয়া গেলেও; সেটি এখন কিনতে খরচ পড়ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এদিকে কমেছে মাছের দামও। এতে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে নড়াইলের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচএম বদরুজ্জামান বলেন, হোমমেড চিংড়ি খাদ্য উৎপাদনে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাষিদের হোমমেড খাবার তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ৫৩০টি গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে।