এর আগে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভূমিধসে অন্তত ১৮ জন নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করে সিসিটিভি।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক ভিডিওতে দেখা যায়, জিয়ানে একটি গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তার পাশে গাছ ভেঙে পড়েছে এবং বাড়িঘর, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে দেওয়া এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভূমিধসে দুটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৯০০টি বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু অংশে আঘাত হানা টাইফুন খানুন শুক্রবার রাতে চীনের উত্তর-পূর্ব লিয়াওনিং প্রদেশে আছড়ে পড়ে। লিয়াওনিংয়ে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে এই টাইফুন।
সিসিটিভির তথ্য অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আনশান-সহ নিম্নাঞ্চলের কিছু শহরে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই শহরটি থেকে ইতিমধ্যে ১৭ হাজার ৮৫৯ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লিয়াওনিংয়ে রাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতে লিয়াওনিংয়ের চারটি জলাধার উপচে যাওয়ায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিসিটিভি বলছে, চীনের প্রাদেশিক বন্যা, খরা নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ সদরদপ্তর এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় রোববার বিশেষ সভা করেছে। এই সভায় লিয়াওনিং, শানজি, তিয়ানজিন এবং চংকিংয়ের মতো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে বন্যা প্রতিরোধ ও জরুরি পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সূত্র: রয়টার্স।